---Advertisement---

জিম বা ক্র্যাশ ডায়েট ছাড়াই টেকসই অভ্যাসের মাধ্যমে বাড়িতে আপনার ওজন কমান

---Advertisement---

অস্ট্রেলিয়ার পুষ্টি বিশেষজ্ঞ টিগান একটি দীর্ঘমেয়াদী ওজন কমানোর পরিকল্পনা শেয়ার করেছেন যা জিমে যাওয়া বা ক্র্যাশ ডায়েটের প্রয়োজন ছাড়াই স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক। তিনি প্রমাণ করেছেন যে জিমের সদস্যতা ছাড়াই শরীরকে রূপান্তর করা সম্ভব। টিগান নিজেই ১৯ কেজি ওজন কমিয়ে এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তার পদ্ধতিগুলি সহজ এবং যে কেউ অনুসরণ করতে পারে।

weight loss

ইনস্টাগ্রামে টিগান তার যাত্রা শেয়ার করেছেন এবং পাঁচটি টেকসই অভ্যাসের উপর জোর দিয়েছেন যা তার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। তিনি বলেন, “জিম নেই? সমস্যা নেই! আমি বাড়ি থেকেই ১৯ কেজি ওজন কমিয়েছি, কোনো ক্র্যাশ ডায়েট নয়, কোনো কঠিন পন্থা নয়, কেবল কার্যকর অভ্যাস।”

টিগানের পাঁচটি মূল অভ্যাস:

  1. ক্যালোরি ঘাটতি: প্রতিদিন প্রয়োজনীয় ক্যালোরির চেয়ে ৫০০ কম ক্যালোরি গ্রহণ করে এবং একটি খাদ্য জার্নাল ব্যবহার করে টিগান তার ডায়েটকে স্বাস্থ্যকর ও টেকসই করেছেন।
  2. পদক্ষেপ বাড়ানো: ধীরে ধীরে তার দৈনিক পদক্ষেপের লক্ষ্য ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ ধাপে বাড়িয়েছেন, যা তাকে সক্রিয় থাকতে এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করেছে।
  3. হোম ওয়ার্কআউট: সপ্তাহে ৩-৫ বার ৩০ মিনিটের হালকা শক্তি প্রশিক্ষণ করে তিনি ধারাবাহিকতায় মনোযোগ দিয়েছেন। তার ঘরে করা এই ওয়ার্কআউটগুলো কোনো ব্যয়বহুল সরঞ্জাম ছাড়াই কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
  4. স্ব-যত্ন: টিগান স্ট্রেস কমানোর জন্য যোগব্যায়াম, ধ্যান, এবং গভীর শ্বাসের অনুশীলন করেছেন। প্রতিরাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করেছে।
  5. নিজের উপর ফোকাস: অন্যদের সঙ্গে তুলনা বন্ধ করে নিজের অগ্রগতির উপর মনোযোগ দিয়ে তিনি একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করেছেন।

টিগানের এই গল্প দেখায়, ছোট ছোট পরিবর্তন ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়ন করলে বড় ফলাফল পেতে পারেন। তার পরামর্শ? ধৈর্য ধরে শুরু করুন এবং সামান্য পরিবর্তন দিয়ে এগিয়ে যান। প্রতিটি প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ—তা বেশি পদক্ষেপ নেওয়া হোক বা ছোট কিন্তু নিয়মিত ওয়ার্কআউট হোক।

একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গড়ে তোলার সহজ কৌশল

জিমে যাওয়া বা কঠোর ডায়েট ছাড়াই কীভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব? এটি সম্ভব প্রমাণ করেছেন এক নারী, যিনি সহজ কিছু অভ্যাসের মাধ্যমে তার জীবনধারা পরিবর্তন করেছেন এবং ১৫ কেজি ওজন কমিয়েছেন। তিনি দেখিয়েছেন যে ছোট ছোট পরিবর্তন নিয়মিতভাবে বাস্তবায়ন করলে দীর্ঘমেয়াদে বড় ফলাফল অর্জন করা যায়।

তার কৌশলগুলোর মধ্যে প্রথমেই ছিল পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফল, শাকসবজি, এবং প্রোটিন যুক্ত করে তিনি একটি টেকসই ডায়েট গড়ে তুলেছেন। দ্বিতীয়ত, নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস। দিনে অন্তত ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ পদক্ষেপ হাঁটার মাধ্যমে তিনি তার শরীর সক্রিয় রেখেছেন। তৃতীয়ত, তিনি হালকা যোগব্যায়াম ও ব্যায়াম করেছেন, যা তার শারীরিক এবং মানসিক শক্তি বাড়িয়েছে।

এছাড়া, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানোর জন্য ধ্যানের মতো কার্যক্রম তাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করেছে। তার মতে, “আপনার লক্ষ্য যত বড়ই হোক না কেন, ছোট ছোট পরিবর্তনই আপনার জীবন পরিবর্তনের প্রথম ধাপ।”

এই গল্পটি অনুপ্রেরণা দেয় যে আমরা প্রত্যেকেই সামান্য প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা শুরু করতে পারি। আপনিও চেষ্টা করুন, এবং নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনুন।

হোয়াটসঅ্যাপে যোগ দিন

যোগ দিন
---Advertisement---

Latest Stories